সিরাজগঞ্জে হাঁড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশা জেঁকে বসেছে। শনিবার ভোর রাত থেকে এ শীত ও ঘনকুয়াশার তীব্রতা বাড়ছে। সকাল থেকে দিনভর সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে শীত ও ঘনকুয়াশা পড়েছে। এতে বিশেষ করে এ শীত ও ঘনকুয়াশার প্রভাবে হেডলাইট জ্বালিয়ে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে। যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। তবে পুলিশের বিশেষ দিক নির্দেশনায় যানবাহন পারাপার হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সেতু। সেইসাথে মাঠে নামতে পারছেনা কৃষকেরা এবং এমনকি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। শীতের তীব্রতায় জেলার চর ও দুর্গম অঞ্চলের হাজার হাজার অসহায় মানুষ এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। জেলা উপজেলা শহরাঞ্চলের ফুটপাতে পুরাতন গরম কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে। তবে সরকারি ও বেসকারিভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে কম্বল বিতারণ অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি কম্বল বিতারণে অপ্রতুল থাকায় সমালোচনা উঠছে।
এছাড়া শীতের কারণে জেলা উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, শীত নিবারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার কম্বল বিতারণ করা হয়েছে। আরো কম্বলের জণ্য জরুরী চাহিদা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।